প্রত্যয় নিউজডেস্ক: দীর্ঘ ১৬ বছর পর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ফিরেছে লিডস ইউনাইটেড। তাদের আগমনের পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল, এবার বড় দলগুলোর কঠিন পরীক্ষাই নেবে লিডস। মৌসুমের শুরুতেই যা সত্য প্রমাণ করে দিলো মার্সেলো বিয়েলসার শিষ্যরা, রুখে দিয়েছে শিরোপাপ্রত্যাশী দল ম্যানচেস্টার সিটিকে।
প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুলের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছিল লিডস। সেদিন কোনোমতে ৪-৩ গোলের জয় নিয়ে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিল ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। কিন্তু ভাগ্য এতটা সুপ্রসন্ন হয়নি পেপ গার্দিওলার দলের, জয়ের দেখা পায়নি তারা।
শনিবার লিডসের মাঠে খেলতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছে ম্যান সিটি। শুরুতে গোল করে এগিয়ে গেলেও, ম্যাচের ফলাফল নিজেদের পক্ষে রাখতে পারেনি তারা। দ্বিতীয়ার্ধে গোল হজম করে মাঠ ছেড়ে ১-১ ড্র নিয়ে। তবে ম্যাচশেষে এই ড্র’ই ম্যান সিটির জন্য জয়তুল্য হওয়ার কথা।
পুরো ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে স্বাগতিক লিডস। পেপ গার্দিওলার যেকোনো দলকে সবসময় নিজেদের কাছে বল দখলে রেখে খেলতে দেখা যায়। শনিবার এ কাজটিই করতে দেননি লিডস কোচ বিয়েলসা। ম্যাচের বেশিরভাগ সময় বলের দখল নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রেখেছে লিডস। যা কি না কমিয়ে দিয়েছে ম্যান সিটির আক্রমণের ধার।
তবে প্রথম গোলটা করেছিল ম্যান সিটিই। ম্যাচের ১৭ মিনিটের মাথায় ডি-বক্সের মধ্যে কোনাকুনি শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ম্যান সিটির ইংলিশ ফরোয়ার্ড রহিম স্টারলিং। এর আগে চতুর্থ মিনিটের সময় বেলজিয়ান মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনের ফ্রি-কিক ফিরে আসে পোস্টে লেগে। ম্যাচে ম্যান সিটির বলার মতো বলার সুযোগ এ দুইটিই ছিল।
শুরুতে খানিক আলো ছড়ালেও, ম্যাচের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ম্লান হতে থাকে সিটিজেনরা। আর তাদের ওপর চেপে বসতে শুরু করে স্বাগতিকরা। পুরো ম্যাচে দুইটি মাত্র শট লক্ষ্য বরাবর রাখতে পেরেছে ম্যান সিটি। অন্যদিকে ১২ বার আক্রমণে উঠে ৭ বারই সিটিজেনদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে লিডস।
তবু প্রথমার্ধে সমতাসূচক গোলটি পায়নি লিডস। দ্বিতীয়ার্ধে ফিরে আরও গোছালো ফুটবল খেলতে থাকে তারা। যার ফলও পায় হাতেনাতে। ম্যাচে ৫৯ মিনিটের সময় সিটিজেন গোলরক্ষক এডারসনের ছোট্ট ভুলে গোল হজম করে ম্যান সিটি। কর্নারে ঠিকভাবে বল ক্লিয়ার করতে পারেননি এডারসন। গোলের কাছে দাঁড়িয়েই আলতো ছোঁয়ায় ম্যাচে সমতা ফেরান রদ্রিগো।
এরপর আরও বেশ কিছু জোরালো আক্রমণ করে লিডস। ম্যাচের ৮৬ মিনিটের সময় প্রায় গোল পেয়েই যাচ্ছিল তারা। কিন্তু দুর্বল শট নেন প্যাট্রিক ব্যামফোর্ড। এর আগে রদ্রিগোর দুর্দান্ত এক হেড অসামান্য ক্ষিপ্রতায় রুখে দেন সিটিজেন গোলরক্ষক। ফলে গোল আর হয়নি, ম্যাচ শেষ হয়েছে ১-১ থেকেই।
লিগের ৪ ম্যাচে ২ জয় ও ১ ড্র’তে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচ নম্বরে উঠে এসেছে এসেছে লিডস ইউনাইটেড। ম্যান সিটি খেলেছে তিন ম্যাচ। একটি করে জয়, পরাজয় ও ড্র’তে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান দশম। চার ম্যাচের সবকয়টিতে জেতা এভারটন রয়েছে সবার ওপরে।